আবেদনময়ীর চেয়ে একটুখানি বেশি

যখন কেবল উনিশ বছরের তরুণী, তখন বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন রিয়া সেন। সেই ২০০১ সালের কথা। বয়স এখন ছত্রিশ। ক্যারিয়ারে হিন্দি ছবির সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। ২০০১ সালে ‘স্টাইল’, ২০০৩ সালে ‘ঝংকার বিটস’, ২০০৫ সালে করেছেন ‘আপনা সাপনা মানি মানি’। বেশির ভাগ সময় আবেদনময়ী চরিত্রের প্রস্তাবই বেশি পেয়ে এসেছেন তিনি। এখন আবেদন বা সেক্সি শব্দটি তাঁকে আর টানে না।
এ বিষয়ে রিয়া সেন বলেছেন, ‘আবেদনময়ী শব্দটি দিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রি কী বোঝায় জানি না। তারা চায় আমি ছোট স্কার্ট পরি। ব্যাস, হয়ে গেল? একেই আবেদনময়ী বলে? আমার তো মনে হয়, এর মানে হচ্ছে আরও বেশি ব্যক্তিত্ববান হয়ে ওঠা। আবেদনময়ী বলে ডাকলে আপত্তি নেই, আমি কিন্তু আবেদনময়ীর চেয়ে একটুখানি বেশি।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রিয়া সেন ধরে রেখেছিলেন এই ব্যক্তিত্ব। সে জন্যই ভূরি ভূরি হিন্দি ছবি করেননি তিনি। চাওয়া ছিল, শুধু আবেদনময় দৃশ্যের নায়িকা হিসেবেই নয়, তাঁর ব্যক্তিত্বের মূল্যটাও বুঝুক ইন্ডাস্ট্রি। তিনি বলেছেন, ‘টালিগঞ্জের পরিচালকেরা আমাকে এমন সব ছবিতে নিয়েছেন, যেগুলোতে চরিত্র ফুটিয়ে তোলার ব্যাপার ছিল। যে ছবিগুলোতে মানুষকে চমক দেওয়ার বদলে গল্পটি উপস্থাপনের বিষয় ছিল। আমি আসলে ওই ছবিগুলোই করতে চেয়েছি। মানুষ আমাকে যেভাবে দেখতে চাইবে, সেভাবেই পর্দায় আসব, এমন অভিনেত্রী আমি নই। কলকাতার ছবিগুলো নিজেকে প্রমাণ করতে সাহায্য করেছে আমাকে।’
বড্ড অসময়ে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন স্বীকার করে রিয়া বলেন, ‘অল্প বয়সে বলিউডে কাজ শুরু করেছিলাম। কাউকে চিনতাম না, ইন্ডাস্ট্রির কিছুই বুঝতাম না। এখন বয়স বেড়েছে, পরিপক্ব হয়েছি। এখন আমি জানি, আমি কী চাই। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু বদলে যাচ্ছে। অভিনেত্রীদের ভূমিকানির্ভর চরিত্র বাড়ছে।’
সম্প্রতি রিয়া সেনকে দেখা গেছে স্বল্পদৈর্ঘ্য একটি হিন্দি ছবিতে। ‘লোনলি গার্ল’ নামের সেই ছবিতে একজন সমকামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *